যুবককে কুপিয়ে জখম – নওগাঁয় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে সাগর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাগর হোসেন সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল দিঘীরপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
নওগাঁয় যুবককে কুপিয়ে জখম
ভুক্তভোগী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্তানকে স্কুলে রেখে গত ১০ ফেব্রæয়ারি সকালে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন সাগর হোসেন। পথে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎই তার গতিরোধ করে দাঁড়ায় সরাইল গ্রামের হারুন অর রশিদ (৬০), তার ছেলে মহসীন রেজা (৩৫) এবং আলীম সরদারের ছেলে গোলাম আজম (৩৫)।
এরপর তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয় সাগর হোসেনকে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহত সাগরকে আশঙ্কাজনক অবস্থ্যায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন সাগর।
এদিকে এ ঘটনার দিন রাতেই নওগাঁ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে আহত সাগরের বাবা জাকির হোসেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। জাকির হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, হামলাকারীরা প্রত্যেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। আওয়ামী লীগের আমলে তারা আমাদের গ্রামের একটি দিঘী অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভোগদখল করেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর সেটি গ্রামবাসীরা দখলমুক্ত করেছে। মূলত এর জেরেই আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওরা কুপিয়ে জখম করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আহত সাগরের ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে আমার ভাই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এখনো একটি আসামীও গ্রেপ্তার হয়নি। আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ভয়ে আছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অত্যাচার এখনো শিকারপুর থেকে যায়নি। দ্রæত তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমাদের এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরবে না।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দীকী বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রæতই তাদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন:
