আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নওগাঁ জেলার শিক্ষা।
নওগাঁ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:-

- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১৩৭৪টি
- রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৪৮২টি
- সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়: ৪টি
- বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৩৭৫টি
- বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ৭৫টি
- সরকারি মেডিকেল কলেজ: ১টি
- বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ: ১টি
- সরকারি মহাবিদ্যালয়: ৬টি
- বেসরকারি মহাবিদ্যালয়: ৭৪টি

- বেসরকারি কৃষি কলেজ: ২টি
- কামিল মাদ্রাসা: ২টি
- ফাজিল মাদ্রাসা: ৩৩টি
- আলিম মাদ্রাসা: ৪০টি
- দাখিল মাদ্রাসা: ২০২টি
- সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: ২টি
- এসএসসি (ভোকেশনাল) স্কুল: ৩৮টি
- এইচএসসি (বিএম) কলেজ: ৪৪টি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (পিটিআই): ১টি
- পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট: ১টি
জেলায় শিক্ষার গড় হার ৪৪.৫২% (পুরুষদের ৪৬.৪৭% এবং মহিলাদের ৪৩.৬০%)।
নওগাঁ জেলার অর্থনীতি কৃষিপ্রধান। বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রায় মাঝে অবস্থিত এই জেলার আয়তন ৩,৪৩৫.৬৭ বর্গকিলোমিটার। এর প্রায় ৮০ শতাংশই আবাদী জমি। এই অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর যা দোঁআশ নামে পরিচিত। ক্রমবর্তমান উন্নত জাতের আম বাগান এবং ব্যাপক ফলনের কারণে নওগাঁ ইতোমধ্যেই আমের নতুন রাজধানী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। নওগাঁ ধানের জন্য বিখ্যাত ছিল। এই জেলার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যেতে শুধু ধানক্ষেত।

প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের এই জেলার অধিকাংশই কৃষক। এই জেলায় উৎপাদিত প্রধান ফসলসমূহের মধ্যে রয়েছে: ধান, পাট, গম, সরিষা, আখ, ভুট্টা, আলু, বেগুন, রসুন, তেল বীজ এবং পেঁয়াজ। এছাড়াও নানা ধরনের মৌসুমি ফল ও ফসল উৎপাদন হয় এই জেলায়। ২০০৯-২০১০ এ জেলায় মোট ধান ও গমের উৎপাদন ছিল ১৩,৫৮,৪৩২ মেট্রিক টন। সাথে আরও ৮,২৬,৮৩৫ মেট্রিক টন উদ্ধৃত্ত।
ধান উৎপাদনে নওগাঁ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জেলা। এছাড়াও আম এই প্রধান অর্থকরী ফল হয়ে আবির্ভূত হয়েছে গত এক বছরে। এই জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার, পোরশা, পত্নীতলা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় বিপুল প্রমাণ আমের বাগান রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশ আম উৎপাদনে শীর্ষ স্থান দখল করে এই জেলা। এ জেলায় আম উৎপাদন হয় ৩.২৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশের সবথেকে বড় আমের হাট নওগাঁ জেলার সাপাহার হাট। বাংলাদেশের জেলাসমূহের মধ্যে নওগাঁতেই সর্বাধিক ধান প্রক্রিয়াজাতকরণ কল রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ