Site icon নওগাঁ জিলাইভ | truth alone triumphs

নওগাঁ জেলার ব্যবসা

নওগাঁ জেলার ব্যবসা

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নওগাঁ জেলার ব্যবসা।

নওগাঁ জেলার ব্যবসা:-

 

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার – নওগাঁ-জেলা

 

শিল্প-কারখানার সমৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম প্রধান শর্ত। শিল্প-কারখানার সমৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক কাঠামো। নওগাঁ  মূলতঃ কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। সেজন্য এ জেলাতে যেসব শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে তার অধিকাংশই কৃষিভিত্তিক। কৃষিই এই জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল চাবিকাঠি।

কাটারী ভোগ, কালাজিরা চাল সহ উন্নত মানের চালের জন্য এই জেলা বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও ধানচাষ নির্ভর এই জেলা দেশের সিংহভাগ চালের যোগান দেয়। ধান এই জেলার প্রধান কৃষি পণ্য হওয়ায় এই জেলায় শিল্প ও কলকারখানা বলতে প্রায় ২০০০ এর মত চালকল আছে যার মধ্যে প্রায় ১০০টির মত অটোমেটিক ও সেমি-অটোমেটিক চাউল কল; বাকী সবগুলো চাতাল নির্ভর চাউল কল।

 

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

নওগাঁ শব্দর উৎপত্তি হয়েছে ‘নও’ (নতুন -ফরাসী শব্দ ) ও‘ গাঁ’ (গ্রাম ) শব্দ দু’টি হতে। এই শব্দ দু’টির অর্থ হলো নতুন গ্রাম। অসংখ্য ছোট ছোট নদীর লীলাক্ষেত্র এ অঞ্চল। আত্রাই নদী তীরবর্তী এলাকায় নদী বন্দর এলাকা ঘিরে নতুন যে গ্রাম গড়ে উঠে, কালক্রমে তা-ই নওগাঁ শহর এবং সর্বশেষ নওগাঁ জেলায় রুপান্তরিত হয়। নওগাঁ শহর ছিল রাজশাহী জেলার অন্তর্গত।

কালক্রমে এ এলাকাটি গ্রাম থেকে থানা এবং থানা থেকে মহকুমায় রুপ নেয়। ১৯৮৪ এর ১ মার্চ- এ নওগাঁ মহকুমা ১১টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। বাংলাদেশ উত্তর -পশ্চিমভাগ বাংলাদেশ – ভারত আন্তর্জাতিক সীমা রেখা সংলগ্ন যে ভূখন্ডটি ১৯৮৪ খ্রিঃ এর ১ মার্চের পূর্ব পর্যন্ত অবিভক্ত রাজশাহী জেলার অধীন নওগাঁ মহকুমা হিসেবে গণ্য হতো, তাই এখন হয়েছে নওগাঁ-জেলা।

নওগাঁ প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন ভূক্ত অঞ্চল ছিল। অন্য দিকে এটি আবার বরেন্দ্র ভূমিরও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ । নওগাঁর অধিবাসীরা ছিল প্রাচীন পুণ্ড্র জাতির বংশধর। নৃতাত্ত্বিকদের মতে, পুন্ড্ররা বিশ্বামিত্রের বংশধর এবং বৈদিক যুগের মানুষ। মহাভারত্র পুণ্ড্রদের অন্ধ ঋষি দীর্ঘতমার ঔরষজাত বলি রাজার বংশধর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কারো মতে, বাংলার আদিম পাদদর বংশধর রুপে পুন্ড্রদের বলা হয়েছে। এদিক দিয়ে বিচার করলে নওগাঁ যে প্রাচীন জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল ছিল তা সহজেই বলা যায়।

 

বলিহার রাজবাড়ী – নওগাঁ জেলা

 

নওগাঁ জেলায় আদিকাল হতেই বৈচিত্রে ভরপুর। ছোট ছোট নদী বহুল এ জেলা প্রাচীনকাল হতেই কৃষি কাজের জন্য প্রসিদ্ধ। কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে অসংখ্য জমিদার গোষ্ঠী গড়ে উঠে। এ জমিদার গোষ্ঠীর আশ্রয়েই কৃষি কাজ সহযোগী হিসেবে খ্যাত সাঁওতাল গোষ্ঠীর আগমন ঘটতে শুরু করে এ অঞ্চলে।

সাঁওতাল গোষ্ঠীর মতে এ জেলায় বসবাসরত অন্যান্য আদিবাসীদের মধ্যে মাল পাহাড়িয়া, কুর্মি, মহালী ও মুন্ডা বিশেষভাবে খ্যাত। নানা জাতি ও নানা ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে গঠিত নওগাঁ-জেলা মানব বৈচিত্র্যে ভরপুর। অসংখ্য পুরাতন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও জমিদার বাড়ি প্রমাণ করে নওগাঁ জেলার সভ্যতার ইতিহাস অনেক পুরাতন।

আরও পড়ুন:

Exit mobile version